‘জঙ্গিবাদের মতো জিহাদ ইসলাম সমর্থন করে না’
বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর মুবাল্লিগরা বলেছেন, বোমা মেরে, মানুষ খুন করে কখনও ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়নি। কিন্তু এখন এসব অপকর্ম করে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই প্রচেষ্টাকে ইসলামী জিহাদ বলা হচ্ছে। অথচ সেই জিহাদ প্রকৃত জিহাদ নয়। তা ইসলামের জন্য আত্মত্যাগও হবে না। এই ধরনের জিহাদ ও আত্মত্যাগ ইসলাম সমর্থন করে না।
মুবাল্লিগরা বলেন, কষ্ট করে মানুষের কাছে নেকীর দাওয়াত পৌঁছানো, আল্লাহর নির্দেশিত পথে তার রাসূলের সুন্নাতসমূহ মানুষের জীবনে বাস্তবায়ন, খালেছ অন্তরে আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে এবং নিজের ধন সম্পদ বিলিয়ে দেওয়া, বিশেষ করে ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে তাকওয়াবান করার যে প্রচেষ্টা সেটাই ইসলামের প্রকৃত জিহাদ ও আত্মত্যাগ।
কিন্তু ইসলামের নামে একটি গোষ্ঠী আমাদের প্রিয়নবী (স.), সাহবায়ে কেরাম ও আউলিয়াদের আদর্শ থেকে দূরে সরে গিয়ে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে প্রকৃত জিহাদ ও আত্মত্যাগকে বিতর্কিত করে ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করছে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করছে। জঙ্গিবাদ নয়, অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে দ্বীনের জন্য জান-মালের কোরবানি তথা প্রকৃত আত্মত্যাগই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। তাই আমাদের সবাইকে ইসলামের শান্তি ও সুশিতল ছায়াপথে আসতে হবে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী দ্বীনের জন্য কোরবানি ও আল্লাহর রাস্তায় সফরের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমাদের মহানবী (স.), আহলে বায়ত, সাহাবায়ে কেরাম ও আওলিয়া কেরাম কথার মাধ্যমে মানুষকে কখনও কষ্ট দেয়নি। জান-মাল কোরবান করে হৃদয়ের সব ভালোবাসা দিয়ে ইসলামের নেকীর দাওয়াত দিয়েছেন, মানুষের মন জয় করেছেন।
হাত ও জবান থেকে মানুষকে নিরাপদে রেখেছেন। দ্বীনের জন্য হাসতে হাসতে জীবন বিলিয়ে দেওয়া হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) সহ আহলে বায়াতের শাহাদাত ইসলামের পথে প্রকৃত কোরবানির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই আমাদের সব মানুষকে নিরাপদ রাখতে হবে। জান-মাল কোরবান করে মানুষের হৃদয় জয় করে নেকীর দাওয়াত দিতে হবে। কোরআন সুন্নাহসহ তথা ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে হবে।